কেউ এড়িয়ে যাবেন না, একজন প্রবাসীর বউয়ের ল'জ্জা'জনক কিছু কথা শুনুন

 কেউ এড়িয়ে যাবেন না, একজন প্রবাসীর বউয়ের ল'জ্জা'জনক কিছু কথা শুনুন



কাল সারারাত আমার জামাই আমার পা টিপে দিছে ভাবী! পায়ের ব্য'থায় ঘুমোতে পারছিলাম না। -আরে ভাবী আমি অ'সুস্থ থাকলে তো আমার জামাই আমার ছায়া-ব্লাউজ পর্যন্ত ধুয়ে দেয়। বলেই একজন আরেকজনের গায়ে হেসে লু'টিয়ে পড়ছে। -কি হলো তানহা'র মা, এতো চুপচা'প কেনো? তুমিও কিছু বলো তোমার জামাইয়ের কথা!


আমি এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উত্তর দেই, জুইয়ের মাঃ তোমারই তো শান্তি, চাইলেই দেশে বসে ৮/১০ টা প্রেম করতে পারো, জামাই টের ও পাবেনা। আমার জামাই তো খালি স'ন্দে'হ করে আমাকে। -কি বলেন ভাবী? জামাই থাকতে প্রেম কেনো করবো? জুইয়ের মাঃ এতো সুন্দর তুমি, ব'য়স ও কম। ক্যামনে থাকো জামাই ছাড়া? নিজের রুপ-যৌ'বন এইভাবে ন'ষ্ট করিওনা। তোমার জামাই বিদেশে কতো জনের সাথে ঘুমায় তা কি তোমারে বলে? -না জেনে মন্তব্য করা কি ঠিক ভাবী? যদি তিনি পাপ করে তার কৈফত তিনি আল্লাহ্র কাছে দেবে। আমি কেনো পাপের বোঝা মাথায় নেবো। জুইয়ের মাঃ শোন! এই পাপ-পূন্যের ভাত নেই আজকাল। শশুড় বাড়ির মানুষ কোনদিন আপন হয় না। নিজে ব্যাংক-ব্যালেন্স করো। জমি-জমা কেনো, নাহলে যখন শুনবা জামাই আরেকটা বিয়া করছে তখন আমার কথা মনে কইর‍্যা পস্তাবা। আমি আর জুইয়ের মা'র কথায় কান দিলাম না। তানহা'র ব'য়স যখন ৩ বছর তখন শেষ এসেছিলো তানহা'র আব্বু। এখন তানহা'র ব'য়স ৫ বছর চলছে।প্রত্যেকবার যখন তিনি আসেন আমার মনে হয় আমাদের নতুন বিয়ে হয়েছে, খুব অচেনা লাগে মানুষটাকে, তবে তিনি মানুষ হিসেবে খা'রাপ না। দেশে থাকলে অন্য ভাবীদের বরদের মতোই আমার খেয়াল রাখতো। বিয়ের আগে যে আমি প্রেম করিনি তা কিন্তু নয়, সত্যি বলতে লজ্জা নেই, কলেজ লাইফে একটা ছেলেকে খুব ভালোবাসতাম, কিন্তু সেইম এইজ এর রিলেশনে যা হয় আর কি? বিয়ে আর হয়নি। আহারে! ছেলেটা আমার বিয়ের দিন ঘুমের ঔষধ খেয়ে হাসপাতালে ছিলো, কিন্তু কিছুই করার ছিলোনা আমার। এখন মাঝে মাঝে স্কুল আর কলেজের সেইবন্ধু-বান্ধবীদের সাথে স্মৃ'তিময় দিনগুলোর কথা ভাবি। স্মৃতিগুলো খুব আ'ঘাত করে আমাকে, ফিরে যেতে ইচ্ছে হয় ছেলেবেলায়। 'তানহা' আমার একমাত্র মে'য়ে। তানহা'র আব্বুর এখন একটা ছেলের সখ। আমার জীবন অনেকটা রুপকথার রাজা-রানীর মতো, "অবশেষে তারা সু'খে-শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো" এরকম। তাই পরেরবার একটা ছেলে হলে বাচ্চা নেয়ার ঝামেলা থেকে বেঁচে যাই। কেনোনা অন্যান্য ভাবীদের মতো আমার অসুস্থ অবস্থায় খেয়াল নেয়ার মতো কেউ থাকেনা। নিজের ঔষধ নিজের কিনে খেতে হয়, নিজের সংসারের রান্নার বাজার নিজের করতে হয়। তার উপরে শাশুড়ি, ননদিনী কিংবা শশুড় বাড়ির অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের মন জোগিয়ে চলতে হয়। বছর এর বছর এভাবেই স'ন্তান লালনপালন আর পরিবারের দেখাশুনা করেই কে'টে যায় আমাদের মতো প্রবাসী স্বা'মীর স্ত্রীদের। দিনশেষে ভালোবেসে 'ভালোবাসি' বলার মতো মানুষটা পাশে থাকেনা। মুখে তুলে একবারের জন্যও অন্যান্য ভাবীদের বরের মতো কেউ খাইয়ে দেয়না কিংবা ঈদ-কুরবানীতে কেউ শপিংমলে নিয়ে যেয়ে নিজের পছন্দের শাড়ি-চুড়ি কিনে দেয়না। আমার'তো আগে শাশুড়ি আর ননদের জন্য কিনতে হয়। সবশেষে তানহা'র জন্য কেনাকা'টা করে নিজের জন্য কিছু কেনার ইচ্ছেটা কেনো জানি ম'রে যায়। টাকা-পয়সার অভাব নেই আমার প্রবাসী স্বা'মীর।

Post a Comment

Previous Post Next Post